১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ‘নারী বর্ষ’ ঘোষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ্ব নারীবর্ষ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ড: নীলিমা ইব্রাহীমের নের্তৃত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা পরিষদ ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন নারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় প্রস্ত্ততি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনের প্রস্ত্তুতি কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব এবং ১৯৭৫ সালে জুলাই মাসে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী সমাজের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে। এই সম্মেলনে ১৯৭৬-১৯৮৫ সালকে ‘নারী দশক’ হিসেবে ঘোষণার প্রেক্ষাপটে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে নারী অধিকারের বিষয়গুলি উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নে সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের প্রতিফলনের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী করার জন্য সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সংস্থার কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসূ ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৪ঠা মে তারিখে ৯ নং আইন বলে জাতীয় মহিলা সংস্থাকে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রূপদান করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস